OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়

বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় কোনটি? এই বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ছোট বড় ঘুর্নি ঝড় হয় যা সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বুঝতে পারে। আপনি কি বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানতে চান? আজকের এই পোস্টে বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়

বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ঃ উপস্থাপনা

বাংলাদেশে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়। এটি বঙ্গোপসাগর অর্থাৎ ভারত মহাসাগর থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসে। এর ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় কোনটি এই বিষয়ে আপনার অবশ্যই জানা উচিত। বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ের নাম হলো আম্পান। আম্পানের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়

বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ের নাম হল আম্পান। এটি বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী ভারতের পূর্ব এবং বাংলাদেশে আঘাত হানে। এই ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, ভারতের উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মধ্যে ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে বেশি পরিমাণে মানুষ মারা না গেলেও প্রচুর পরিমানের অর্থ ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের জন্য তিনটি সেরা অনলাইন জব

এই ঘূর্ণিঝড় গঠন হয়েছিল ২০২০ সালের ১৬ মে এর সর্বোচ্চ গতি ছিল তিন মিনিট স্থিতি ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটার। এটি ভারতীয় মহাসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপের থেকে উৎপত্তি হয়েছে। আম্পান একটি থাই শব্দ। আম্পান এর অর্থ হচ্ছে আকাশ। এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের ২৬ জন ভারতের ৯৮ জন এবং শ্রীলংকার ৪ জন প্রাণ হারায়।

আম্পান ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩.৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের মূলত দক্ষিণ-পশ্চিম জেলাগুলোতে আম্পানের আঘাত তীব্র ছিল। বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত প্রায় দশটি গ্রাম ডুবে যায়। বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় আম্পানের দ্বারা ক্ষয়ক্ষতি হওয়া বেরি মেরামতের জন্য ২৫০-৩০০ কোটি টাকা বাজেট অনুমোদন করেছিল।

বাংলাদেশে আঘাত হানা ৫ টি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়

বাংলাদেশে মাঝেমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়। অনেকগুলো ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ছোট থাকে যা শুধু উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বুঝতে পারে। কিন্তু কিছু ঘূর্ণিঝড় আছে যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এরকম বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পূর্বের এবং এখনকার মতো ভয়াবহ ৫টি ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। তো চলুন বাংলাদেশে আঘাত হানা ৫ টি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জেনে নেই।

ভোলা সাইক্লোনঃ

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে এই ঘূর্ণিঝড়ে। এই ঘূর্ণিঝড় ১৯৭০ সালে সংঘটিত হয়। এই ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের তৈরি হয়েছিল ৮ নভেম্বর এবং ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। যার ঘন্টায় গতিশীল প্রায় ১৮০ কিলোমিটার।

মৃতের সংখ্যাঃ সরকারি হিসাব অনুযায়ী ভোলা সাইক্লোনের ৩ লক্ষ মানুষের প্রাণ হারিয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি মত অনুযায়ী ৫ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

গ্রেট বারেক গঞ্জ সাইক্লোনঃ

এ ঘূর্ণিঝড়টি  ১৮৭৬ সালে সংঘটিত হয়েছিল। তখন বাংলায় ব্রিটিশ আমলে ছিল এবং বারেকগঞ্জ ছিল একটি জেলা। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে মানুষ এবং গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল যার ফলে এর নামকরণ করা হয়েছে গ্রেট বারেক গঞ্জ সাইক্লোন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ইনকাম করার ২০টি সহজ উপায় - ঘরে বসে আয় করার উপায়

মৃতের সংখ্যাঃ গ্রেট বারেক গঞ্জ সাইক্লোন এর ফলে ২ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ঃ

১৯৯১ সালের ২২ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এরপরে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যখন স্থলভাগের ঘূর্ণিঝড় পৌঁছায় তখন এর গতিবেগ কমতে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশের ১৯ টি জেলা এবং শতাধিক উপজেলা ক্ষয়ক্ষতি হয়।

মৃতের সংখ্যাঃ ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন এবং সমপরিমাণ মানুষ আহত হয়েছিলেন।

১৭৬৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ঃ

১৭৬৭ সালে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল বরিশাল এবং বাকেরগঞ্জের এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে যার ফলে। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল বলে জানা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস উচ্চতা ছিল প্রায় ৪৩ ফুট। এ থেকে বোঝা যায় যে এর ভয়াবহতা কতটা বেশি ছিল।

মৃতের সংখ্যাঃ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

১৮২২ সালের ঘূর্ণিঝড়ঃ

উপকূলীয় অঞ্চল বরিশাল এবং বারেক গঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড় যা ১৮২২ সালের জুন মাসে সংঘটিত হয়। এই ঘরে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল এবং এক লক্ষের অধিক গবাদি পশু প্রাণ হারিয়েছিল।

মৃতের সংখ্যাঃ ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল

১৯৬৫ সালের ঘূর্ণিঝড়ঃ

বাংলাদেশের বরিশাল এবং নোয়াখালী অঞ্চল দিয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রবাহিত হয়েছিল। নিজের সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রায় ঘন্টায় ১৬১ কিলোমিটার। এর ফলে বাংলাদেশের বরিশাল নোয়াখালী খুলনা যশোর এবং চট্টগ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

মৃতের সংখ্যাঃ ১৯,২৭৯ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। 

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় কোনটি

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় হল ভোলা সাইক্লোন। যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭০ সালে সংঘটিত হয়েছিল। এই পর্যন্ত রেকর্ডকৃত ঘূর্ণিঝড় সমূহের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। এর ফলে অধিকাংশই সমুদ্র সমতল ভূমিতে জলোচ্ছ্বাসের কারণে মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

আরো পড়ুনঃ ৯ টি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২২ - মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

এ ঘূর্ণিঝড় গঠিত হয়েছিল ১৯৭০ সালের ৭ নভেম্বর এবং বিলুপ্ত হয়েছিল ১৯৭০ সালের ১৩ই নভেম্বর। এই সময় পাকিস্তান সরকার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় এরপরে ত্রাণকার্য পরিচালনায় গরমিল করেছিল। ঘূর্ণিঝড়ের পর বেঁচে গিয়েছিল তারা খাদ্য এবং জলের অভাবে মারা গিয়েছিল। এ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়

বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আরো আলোচনা করা হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ৫ টি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি উক্ত বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪