লাইলাতুর রাগায়েব কি এবং এর বিস্তারিত
আসুন আমরা জেনে নিই লাইলাতুর রাগায়েব কি এবং এর বিস্তারিত বর্ণনা
উল্লেখ্য, আরবি রজব মাসের প্রথম ভাগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের রাতকে লাইলাতুল রাগায়েব বলে।
ফজিলতঃ
এ রাতে মাগরিবের নামাজের পর ১২ রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে তিনবার ইন্না আনযালনা ও ১২ বার সূরা ইখলাস পাঠ করবে নামাজ শেষে ৭০ বার করে __
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদী নিন্নাবিয়্যাল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াছাল্লিম।
অর্থঃহে আল্লাহ! উম্মি নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং তার পরিবার-পরিজনের উপর তোমার রহমত ও শান্তি বর্ষণ কর।
এরপর সেজদায় গিয়ে সত্তর বার করে__
উচ্চারণঃ সুব্বুহুন ক্কদ্দসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার-রুহি।
অর্থঃ আমাদের এবং ফেরেশতাগণ ও আত্মসমূহের প্রতিপালক যিনি অত্যন্ত পবিত্র তারিই তাসবীহ পাঠ করছি।
এরপর সেজদা হতে মাথা উঠিয়ে বসে ৭০ বার করে __
উচ্চারণঃ রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়াতাজাওয়াযু 'আম্মা তা'লামু ফাইন্নাকা আন্তাল আলিউল আযীমু।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের ক্ষমা করো এবং দয়া করো,সীমা অতিক্রম করায় না যা তুমি জানো, নিশ্চয়ই তুমি অনেক উচ্চ ও অনেক বড়।
এর পর দ্বিতীয় সেজদায় গিয়ে পুনরায় ৭০ বার পড়বে__
উচ্চারণঃসুব্বুহুন কুদ্দুসন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতে ওয়ার রুহি।
অর্থঃ আমাদের এবং ফেরেশতাগণ ও আত্মা সমূহের প্রতিপালক যিনি অত্যন্ত পবিত্র তারই তাসবীহ পাঠ করছি।
এরপর সেজদা হতে মাথা উঠিয়ে পূর্বের ন্যায় ৭০ বার পড়বে __
উচ্চারণঃ রাব্বিগফের ওয়ারহাম ওয়াতাজাল ওয়ায়ু ‘আম্মা তা‘লামু ফাইন্নাকা আন্তাল ‘আলিয়্যুল ‘আযীমু।রজব মাসের শেষ ভাগে নিম্নলিখিত নিয়মে দশ রাকাত নামাজ এভাবে আদায় করবে যে তার প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে তিনবার সূরা কাফেরুন ও তিন বার ইখলাস পাঠ করবে তার পর সালাম শেষ করে পরবে __
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু মুলুক ওয়ালাহুল হামদু ইউহ্য়ী ওয়াইুমীতু ওয়াহুয়া হাইয়্যুন লা ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্কাদিরুন। ওয়া ছাল্লাল্লাহু তা‘আলা ‘আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মদিওঁ ওয়া আলিহিত্ ত্বাহিরীনা ওয়ালা হাওলা ওয়ালা ক্কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল ‘আলীয়্যিল ‘আযীমি।
অর্থঃ মহান আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক তার কোন অংশীদার নেই,তারই জন্য সকল মালিকানা এবং প্রশংসা। তিনি চিরঞ্জীবী কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। জীবন মৃত্যু দানকারী, এবং তারই হাতে শ্রেষ্ঠ জীবের জীবনসমূহ। আর তিনি সকল বিষয়ের শক্তিশালী। হে আল্লাহ! হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এবং তার পবিত্র বংশধরগণের উপর রহমত বর্ষণ কর এবং গুনাহের কাজসমূহ হতে বিরত হয়ে নেক কাজ করার মত কারও কোন শক্তি নেই;একমাত্র সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী আল্লাহর শক্তি ব্যাতীত।
উল্লেখিত দোয়া পাঠ করে যে উদ্দেশ্যে মোনাজাত করা হবে ইনশাআল্লাহ তার সকল উদ্দেশ্য সফল হবে এবং কেয়ামতের দিন তার ও দোজখের মাঝখানে ৭০ টি খন্দকের ব্যবধান হবে।উক্ত খন্দকের এক একটির দূরত্ব হবে ৫০০ বছরের পথ। এছাড়া প্রতি রাকাত নামাজ এর জন্য এক হাজার রাকাআত নামাজ আদায়ের ছাওয়াব আল্লাহ তাকে দান করবেন।
এই হাদীস শুনার পর হযরত সালমান ফারসী (রহঃ) এ নামাজ কোন সময়ের জন্য ছেড়ে দেয়নি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url