কোরবানির মাংস বিক্রি করা ইসলামে জায়েজ কি?
কোরবানির মাংস বিক্রি করা ইসলামে জায়েজ কি?
২৮শে জুন বুধবার, ২০২৩
কোরবানির পশুর যেকোনো অংশ যেমন—গোশত, চর্বি, হাড্ডি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েজ নয়। তবে বিক্রি করলে পুরো অর্থ নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ৫/৮১)
পশুর চামড়া কোরবানিদাতা নিজেও ব্যবহার করতে পারবে।
তবে কেউ যদি নিজে ব্যবহার না করে বিক্রি করে, তবে বিক্রিলব্ধ মূল্য সদকা করা জরুরি। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১)
পশুর দেহ থেকে চামড়া পৃথক করার আগে তা বিক্রি করা নাজায়েজ। (দুররে মুখতার : ৬/৩২৯)
কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করলে মূল্য সদকা করে দেওয়ার নিয়তে বিক্রি করবে। বিক্রিলব্ধ অর্থ পুরোটাই জাকাতের উপযুক্ত ব্যক্তিকে সদকা করে মালিক বানিয়ে দেওয়া জরুরি।
তা মাদ্রাসা-মসজিদ ইত্যাদি নির্মাণে খরচ করা জায়েজ নয়। তবে তা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে উপযুক্ত ব্যক্তির জন্য দেওয়া যাবে। (ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৫৪)
কোরবানির চামড়ার মূল্য দিয়ে ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন, শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন দেওয়া নাজায়েজ। (শামি : ২/৩৩৯)
অনেক সময় দেখা যায় কোরবানির মাংস যারা পায় তারা খেতে না পারলে বিক্রি করে দিয়ে থাকে। এটি প্রাকৃতিক ভাবে জায়েজ নয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url