OrdinaryITPostAd

পাইলস কেন হয়? জানুন এর লক্ষণ ও সমাধানের উপায় গুলো

 

পাইলস কেন হয়? জানুন এর  লক্ষণ ও সমাধানের উপায় গুলো 

৩০ শে জানুয়ারি মঙ্গলবার ২০২৪ 


      ছবি সংগ্রহীত 




পাইলস  এর রেগে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও এ সমস্যা বাড়ছে। এর কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস। চিকিৎসার ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলস হলে মলদ্বারের চারপাশ ফুলে যায়। এটি এমন একটি রোগ যাতে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের শিরাগুলো ফুলে যায়। আবার মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের অংশে কিছু মাংস জমা হয়।

এসব মাংসপিণ্ড থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বিশেষত খুব গরম ও মসলাদার খাবার খেলে এই সমস্যা হয়। একই সঙ্গে পরিবারের কারো যদি এ সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও রোগটি স্থানান্তরিত হয়।


আসুন জেনে নিই পাইলস রোগ টি কেনো হয়-


পাইলস কেন হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ুদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো শিরা থাকে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেই শিরা সাধারণত ফুলে যায়। তারপর ওই স্থান শক্ত হয়ে ছিঁড়ে যায় ও রক্তপাত হয়। এ সমস্যারই নাম পাইলস বা হেমোরয়েডস। রক্তপাতই এ অসুখের প্রধান ও অন্যতম লক্ষণ গুলোর একটি । সাধারণত মলত্যাগের সঙ্গেই রক্তপাত হতে থাকে। এছাড়া ব্যথাও হয় অনেকের। তবে সবারই যে অসহ্য যন্ত্রণা হয় তা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ ধরা পড়লে সহজেই সমস্যার সমাধান করা যায়।





পাইলসের লক্ষণ কী?

>> মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা জ্বালাপোড়া
>> মলের মঙ্গে রক্ত পড়া
>> মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা পিণ্ডভাব
>> মলদ্বারের কাছে চুলকানি ও
>> রক্তপাত।


পাইলস রোগের সমাধান কী?

এ বিষয়ে ভারতের কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, প্রথমেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে যেতে হবে।কনস্টিপেশন কমাতে পারলেই এ সমস্যা কমবে। আর ঘরোয়া উপায়ে পাইলসের সমস্যার সমাধান করতে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। সেগুলো হলো-


ফাইবারজাতীয় খাবার

পাইলসের রোগীদের অবশ্যই ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। ফাইবার মল নরম করতে ও নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে।


পানি পান করুন

অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই পানি পান করতেই হবে। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারলে অনেক রোগেরই ঝুঁকি কমবে।


শরীরচর্চার বিকল্প নেই

রুদ্রজিৎ পাল এ বিষয়ে জানান, সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়াম করতেই হবে। ব্যায়াম করলে অন্ত্রের চলন ঠিক থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দিনে অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।


এসব নিয়ম মেনেও যদি পাইলসের সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। এই অবস্থায় ল্যাক্সেটিভসহ বেশ কিছু ওষুধ দারুণ কার্যকরী বলে জানান ডা. রুদ্রজিৎ পাল। তবে এটি দীর্ঘদিন সময় ধরে থাকলে তা শরীরে জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরহতে পারে  এমন কি এ থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। তাই  এই রোগটি ধরা পড়লেই সাথে সাথে তার চিকিৎসা করা জরুরী । 









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪