OrdinaryITPostAd

গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ

 গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ

১৮ই এপ্রিল ২০২৫ শুক্রবার 



   ছবি  সংগৃহীত 



গর্ভাবস্থায় একজন নারীর জীবনের সবথেকে খুব সুন্দর মুহূর্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থার এই সময় সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয়। প্রত্যেকটি কাজ খুব সাবধানে সাথে করা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় অনেক খাবার রয়েছে যা এড়িয়ে চলতে হয় আবার অনেক খাবার রয়েছে যা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 

আমাদের আজকের বিষয়বস্তুটি মূলত গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ এই বিষয়ে নিয়ে। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শারীরিক এবং মানসিক অনেক পরিবর্তন আসে। এই সময় প্রয়োজন বেশি বেশি সেবা যত্ন সঠিক ভাবে খাবার  গ্রহণ করা। 

গর্ভাবস্থায় বেশি করে শাকসবজিগ, ভিটামিন জাতীয় খাবার, আরন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ যুক্ত সকল খাবার খাওয়া উচিত। তবে এর মধ্যে এমন কিছু সবজি রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক, গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি হাওয়া নিষেধ এর বিস্তারিত -


গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ -


•করলা 

•কাঁচা পেতে 

•কাঁচা মুলা 

•অঙ্কুরিত বীজ, সিম 

•সাজনা ডাটা 

•এলোভেরা 

•বেগুন 







 গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় সময় টি একজন মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় একজন নারীর শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার প্রবৃত্তি জাগে। গর্ভাবস্থায় সময় এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার ফলে গর্ভের বাচ্চা অনেক সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

অনেক মায়েরা চিন্তিত থাকেন তার বাচ্চা গর্ভাবস্থায় কিভাবে কি খেলে বেড়ে উঠবে এবং সঠিক পুষ্টি পাবে তার সাথে সাথে গর্ভাবস্থায়  কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এনিয়ে মায়েদের মনে অনেক আশঙ্কা থেকে যায়। গর্ভাবস্থায় কি খেলে  বাচ্চা ফর্সা  হয় এ নিয়ে মায়েদের শেষ নেই। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই বিষয় নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করবো। 

তবে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়-

• কমলা: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি তে ভরপুর কমলালেবু। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন বলে থাকেন প্রতিদিন একটা করে কমলা লেবু খেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা ফর্সা হয়। 
•কচি ডাব বা নারিকেল : ডাব বানালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ডাব বা নারিকেল খেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা ফর্সা হয়। 
• জাফরান : অনেক মায়েরা মনে করেন যে জাফরান দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে বাহ গর্ভাবস্থায় বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়। তবে জাফরান রং ফর্সা করতে সাহায্য করে এটা বিশেষজ্ঞরাও বলে থাকেন । 
•টমেটো : টমেটো তে লাইকোপেইন থাকে যা ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রে হতে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি হতে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ত্বকের রং ফর্সা করতে টমেটো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ে
•চেরি ও বেরি জাতীয় ফল : চেরি এবং দেরিতে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা বাচ্চার ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় বেশি করে স্ট্রবেরি , মাল বেরি, চেরি, ব্লু বেরি খাওয়া উচিত। 
• ডিম : গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকেই শেষ অব্দি ডিম খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সিদ্ধ ডিম যেমন প্রোটিন যোগায় তেমনি এটি ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই সিদ্ধ ডিম খেতে হবে অন্য কোন ভাবে খাওয়া যাবেনা। 
•দুধ : আমাদের শরীরের ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে সাহায্য করে এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনা রয়েছে যা গর্ভাবস্থায়  বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি বাঁচার গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। 


    গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের সতর্কতা

গর্ভবতী মায়েদের জন্য গর্ভাবস্থার সময়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় প্রথম তিন মাস বিশেষ যত্ন এবং বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। অনেক সময় দেখা গিয়েছে গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের সতর্কতা অবলম্বন না করার ফলে গর্ভের বাচ্চা হয়ে গিয়েছে। অনেকেই এই সময়টা সতর্কতার সাথে পার করে না বিধায় দেখা দেয় তাদের গর্ভের বাচ্চা না পড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ডাক্তারগন গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের সতর্কতা সাথে থাকতে  বলে। এই সময় ভারী কাজ সহ অন্যান্য অনেক কাজ রয়েছে যা করা উচিত না এতে গর্ভের বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। আমরা আজকের আলোচনায় জানব কেন গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী এবং এর বিস্তারিত। 

তবে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের সর্তকতা -

• ভারী কাজ না করা : যেকোনো ভারী কাজ না করা কেননা ভারী কাজ করলে পেটে চাপ লাগতে পারে। এতে ভুনের ক্ষতি হতে পারে তাই এই সময় ভুলেও কোন প্রকার ভারী কাজ করা যাবে না। যেমন-  কাপড় কাচা, ঘর মোছা, ভারী যে কোন বস্তু তোলা ইত্যাদি ভারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। 

• দৌড়ঝাপ করা : দৌড়ঝাপ করে কোন কাজ করা যাবে না, এতে ভ্রুনে আঘাত লাগতে পারে এবং বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। 

•অতিরিক্ত টেনশন : এই সময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকতে হবে নয়তো তা বাচ্চার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

• পেটের উপর ভর দিয়ে শোয়া যাবে না : যারা পেটে ভর দিয়ে শুয়ে থাকে এ সময় এই কাজটি গুলো করা যাবে না এতে করে পেটের বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। 

•পেটে চাপ পড়বে এমন কাজ না করা : পেটে চাপ লাগবে এই ধরনের কাজগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। 

•সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করা : এই অবস্থায় প্রথম তিন মাসে সিঁড়ি দিয়ে খুব বেশি উঠানামা করা যাবে না এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। 



উক্ত আলোচনা মাধ্যমে আমরা জানতে পারি গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের সতর্কতা সম্পর্কে এবং কিভাবে এখানে থাকতে হবে। 
 
    গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার তালিকা

গর্ভাবস্থায় মেয়েদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময় খুব সাবধানতার সাথে পার করতে হয়। প্রতিটি কাজ প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সাবধানতার সাথে অবলম্বন করা প্রয়োজন। গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেকটি মায়ের উচিত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। কেননা এতে বাচ্চা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং মায়ের শরীরের ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খাওয়া ঠিক না, প্রতিদিন আলাদা আলাদা পুষ্টিকর খাবার গুলো খাবার তালিকা রাখা উত্তম। এতে গর্ভবতী মায়ের মুখের স্বাদ বদল হবে এবং সঠিক পুষ্টিও পাবে। 

গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো।বিভিন্ন প্রকার  ফলমূল, শাকসবজি, আমিষ, প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরী।গর্ভাবস্থায় এমন অনেক খাবার আছে যা খাওয়া উচিত না আবার এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ঘি, দুধ, ডিম, বাদাম এই খাবারগুলি বাচ্চার হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

আজকের পোস্টটিতে আমরা জানবো  একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর বালিকা কেমন হওয়া প্রয়োজন তার সম্পর্কে বিস্তারিত। গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই  গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। কারণ এতে বাচ্চা এবং মা দুজনেই ভালো থাকবে। 

তবে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার তালিকা -

• ভাত, লাল অথবা সাদা চলে : আমরা জানি যে একটা ভাতে ৩৫০কিলোক ক্যালরি থাকে, যা একজন সুস্থ মানুষের জন্য যথেষ্ট। প্রতিদিন অন্তত একজন গর্ভবতী মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হয়। প্রতিদিন ৪৫০-৬০০ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যাবে এই পরিমাণে ভাত খাওয়া উচিত উচিৎ। 

•ডিম : ডিম আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে, যেহেতু একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে প্রোটিনের খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে তাই প্রতিদিন ২ টি করে ডিম খাবার তালিকায় রাখা প্রয়োজন। 

• কাঁচা পাকা কলা : কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে যা আমাদের শরীরের ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। এই কারণে গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কাঁচা পাকা কলা রাখা জরুরী। 

•দুধ: দুধের নিচে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা মানব দেহে দাঁতের ও হাড়ের জন্য খুবই জরুরী। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের কে ডাক্তারগণ বেশি করে দুধ খেতে বলে। কারণ এতে বাচ্চা ও মায়ের দুইজনেরই শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারটি রাখা জরুরী। 

•ঘী : মা ও বাচ্চার জন্য ঘি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী তবে তা যেন খুব বেশি পরিমাণে না হয়। প্রতিদিন একটু পরিমাণে বা একটা চামচ করে গরম ভাত বা রুটির সাথে ঘি খাওয়া জরুরী। 

•ডাল : একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য যেকোনো ধরনের ডাল বিশেষ করে মুসুরির ডাল খাওয়া খুবই জরুরী। এর উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যায় না। ডালমায়ের শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে আপনার সাথে মায়েদের বুকের দুধ তৈরি হতে সাহায্য করে। এ কারণেই একজন গর্ভবতী মাকে গর্ভাবস্থায় অন্তত এক বাটি করে ডাল খাওয়া জরুরী। 

• ফলমূল : প্রতিদিন একটি করে আপেল অথবা একটি করে কমলা লেবু খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এতে করে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং ত্বক সুন্দর হবে। কমলা লেবু শরীরের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। 

•শাকসবজি : গর্ভবতী মায়েদের জন্য যে সকল শাকসবজি উপকারী এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ ভরপুর সে সকল শাকসবজি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। যেমন -পালং শাক, পুইশাক, কুমড়া, আলু, মটরশুটি, গাজর, কচু শাক, লাল শাক ইত্যাদি রঙ্গিন সবজি। 

•আমিষ জাতীয় খাদ্য : যে সকল খাবারে আমিষ বিদ্যমান সে সকল খাবারগুলি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। যেমন - মাংস, কলিজা, বয়লারের মাংস ইত্যাদি। 


    গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে সাধারণভাবে খাবার খেলেই চলে এ সময় বাড়তি কোন খাবারের প্রয়োজন পড়ে না। তবে এরপর থেকে বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে গর্ভবতী মায়ের খাবারের চাহিদা এবং সুষম খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হয়। সঠিক, সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার গর্ভস্থ এর বাচ্চা কে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। 

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় টাইম স্টার শুরু হলে মায়েদের উচিত বেশি করে তুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ মাস এর সময়টাকে দ্বিতীয় টাইম স্টার বলা হয়। গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে বাচ্চার গ্রোথ বৃদ্ধি পায় না। অনেক মায়েরা আছে যারা গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকতে পারে বা তাদের খাবার রুচি থাকে না। এগুলো করা মোটেই বাচ্চা স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক না। 

মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন ‘গর্ভাবস্থায় কোন মায়ের বা সন্তানের যদি স্বাস্থ্য ঝুকি থেকে থাকে তবে যেন তারা রমজান মাসের রোজা হতে বিরত থাকে’। এ থেকে বোঝা যায় যে গর্ভাবস্থায় কখনোই না খেয়ে থাকা উচিত না। গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি হয় এই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানব। 

•গর্ভকালীন অবস্থায় না খেয়ে থাকলে বাচ্চার পুষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে, অনেক মায়েরা রয়েছে যারা নিজেদের  অতিরিক্ত ওজনের কারণে এই গর্ভাবস্থার সময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকে। গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে গর্ভের বাচ্চার পুষ্টিহীনতার দেখা দিতে পারে। 

•গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে বাচ্চা পুষ্টিগুণতার কারণে মাতৃ গর্ভে সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। পরে বাচ্চা প্রসবের পর নানান রকম জনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে। 

•বাচ্চা শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

•গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে বাচ্চার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। অনেক সময় মায়েরা এই কারণে মৃত বাচ্চা প্রসব করে। 

•না খেয়ে থাকার ফলে গর্ভাবস্থায় অনেক মা ও শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। 



গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

গর্ভবতী নারীদের জন্য মাছ প্রোটিনের চাহিদা মিঠাই। গর্ভাবস্থায় মায়েদের বেশি করে মাছ খাওয়া প্রয়োজন,বিশেষ করে সে সকল মাছ যেগুলো চর্বিযুক্ত ও প্রোটিনে ভরপুর। মাছ আমাদের শরীরে আগামীকালকে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় আপনি কি মাছ খাওয়া যাবে না তা নিয়ে  অনেক মতভেদ রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না আমরা তা আজকের আলোচনায় আলোচনা করব। 

তবে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবেনা -

•কাঁচা এবং সামুদ্রিক সি ফুড গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে না। 
•দেশি বা বিদেশি মাগুর মাছ গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবেনা। 
•স্যামন,তেলাপিয়া, চিংড়ি মাছ এড়িয়ে চলা উত্তম । 
•হাঙ্গর, তলোয়ার এই ধরনের সামুদ্রিক মাছগুলো এড়িয়ে চলা উত্তম কারণ এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মিথাইল থাকে। যে বাচ্চার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই গর্ভাবস্থায় এ ধরনের মাছগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 


 গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর জীবনে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এটি একজন নারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় নারীর দেহে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে সুষম খাবার, ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। যেন গর্ভের বাচ্চা খুব সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠতে পারে। তবে এমন কিছু ফল রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। 

সাথে সাথে মায়ের শরীরের চাহিদা যেন পূরণ হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়। গর্ভাবস্থায় এমন অনেক ফল আছে যার আমাদের খাওয়া উচিত না এ সম্পর্কে অনেকেই না জেনে যে সকল ফলগুলি খাওয়া যাবে না সেগুলো খেয়ে নেয়, এতে করে বাচ্চা অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আজকে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা এবং  এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

তবে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা -

•কাঁচা পাকা পেঁপে : আধা পাকা পেঁপে তে রয়েছে ল্যাটিস যা মূলত গর্ভপাতের জন্য দায়ী। জড়ায় সংকুচিত করতে সাহায্য করে এবং গর্ভপাত ঘটায়। তাই গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকে পরবর্তী ৭-৮ মাস পর্যন্ত কাঁচা পাকা পেঁপে না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগন। 

• আনারস : আনারস একটি টক মিষ্টি জাতীয় ফল। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হলেও গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া কখনই ঠিক না, কেনো না আনারসে রয়েছে ব্রোমেলাইন নামক উপাদান যা জরায়ু নরম করতে সাহায্য করে এবং গর্ভাবস্থায় গর্ভে ঘুম নষ্ট করে দেয়। এ কারণেই ডাক্তারগন আনারস খেতে নিষেধ করেন। তাই গর্ভাবস্থায় কখনোই আনারস খাওয়া ঠিক না। 

•আঙ্গুর :  গর্ভাবস্থায় অনেকে আঙ্গুর খেতে পছন্দ করেন তবে, গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রথম তিন মাস এবং শেষে তিন মাস আঙ্গুর না খাওয়াই উত্তম। কেননা এতে থাকা রেসভেরেটল  উপাদানটি বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এমনকি একটি বাচ্চার মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে পারে তাই গর্ভাবস্থায় কখনোই আঙ্গুর খাওয়া ঠিক না। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪