OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন

বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন? আমাদের বাংলাদেশ প্রায় সময়ই ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়। কিছু সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় আসে ছোট আকৃতিতে যা তেমন কোনো ক্ষতি করে না। আবার মাঝেমধ্যে অনেক বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় আসে যা প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি করে। অনেকেই বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন? তা জানতে চাই। এই আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন? তা জানাবো

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন

বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেনঃ উপস্থাপনা

আমরা যারা বাংলাদেশের পশ্চিম দিকে বসবাস করি তারা ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে তেমন অবগত নয় কিন্তু যারা সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে তারা প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানতে পারে। কারণ সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড় বেশি হয়। কিন্তু বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে আবহাওয়া খবর জানা যায়।

আরো পড়ুনঃ ৯ টি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২২ - মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

যেহেতু ঘূর্ণিঝড় সমুদ্র থেকে উৎপত্তি হয় তাই সেগুলো ধীরে ধীরে ভূমির দিকে এগিয়ে আসে। যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চল গুলো বেশি ক্ষতি হয়। আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন? এ বিষয়টি আপনাদের জানাবো।

বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন - ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে

বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন? তা জানার আগে আপনাকে ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে এই বিষয় সর্ম্পকে জানতে হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের কোন স্থানের বায়ুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে। উক্ত স্থানের বায়ুর উপরে উঠে যায় এবং ওই স্থানে বায়ুশূন্য অবস্থা তৈরি হয়। এই বায়ু শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য আশেপাশের বায়ু অতিদ্রুত খালি জায়গা পূরণ করে। যার ফলে ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয় এবং এই প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত চলতেই থাকে। যার ফলে যে বিষয়টি এখানে তৈরি হয় তাকে ঘূর্ণিঝড় বলে।

সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি হিসেবে কাজ করে। ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে করতে একসময় ভূমির দিকে এগিয়ে আসে। যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চল গুলোর অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল গুলো বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এবং সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়।

বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন - ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে এই বিষয়ে সম্পর্কে জেনেছি। আশাকরি ঘূর্ণিঝড় কিভাবে সৃষ্টি হয় এবং ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে এ বিষয়ে আপনার আর কোন সমস্যা নেই। এখন আমরা ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন ২০ টি ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা সম্পর্কে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ইনকাম করার ২০টি সহজ উপায় - ঘরে বসে আয় করার উপায়

১। উর্মি ---- বাংলাদেশ

২। গতি ---- ভারত

৩।  নিসর্গ ---- বাংলাদেশ

৪। সিতরং ---- থাইল্যান্ড

৫। নাগামান ---- মিয়ানমার

৬। মোচা ---- ইয়েমেন

৭। তেজ ---- ভারত

৮। আকাশ ---- ভারত

৯। মিগজায়ুম ---- মিয়ানমার

১০। রজনী ---- বাংলাদেশ

১১। বিজলী ---- ভারত

১২। ঘূর্ণি ---- ভারত

১৩। সমীরণ ---- বাংলাদেশ

১৪। বায়ু ---- ভারত

১৫। গুলাব ---- পাকিস্তান

১৬। শাহীন ---- কাতার

১৭। মেঘলা ---- বাংলাদেশ

১৮। অশনি ---- শ্রীলংকা

১৯। তুয়াতি ---- মিয়ানমার

২০। জাওয়াদ ---- সৌদি আরব

বাংলাদেশ হওয়া ভয়াবহ ৫ টি ঘূর্ণিঝড়

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন এই বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা করছি। এর একটি অংশ বাংলাদেশের হওয়া ভয়াবহ ৫ টি ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন বাংলাদেশ হওয়া ভয়াবহ ৫ টি ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভোলা সাইক্লোনঃ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগের বছর বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এতে প্রায় ৫ লক্ষ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে বড় ঘূর্ণিঝড়। জাতি সবথেকে বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭০ সালে হয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের জন্য তিনটি সেরা অনলাইন জব

দ্য গ্রেট বাকেরগঞ্জ সাইক্লোনঃ

এই ঘূর্ণিঝড়টি ১৮৭৬ সালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ অঞ্চলের সংঘটিত হয়েছিল। যার ফলে প্রায়ই ২ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি করা ঘূর্ণিঝড়। 

চট্টগ্রাম সাইক্লোনঃ

এই ঘূর্ণিঝড়টি ১৮৯৭ সালে চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। যার ফলে প্রায়ই ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। তখন তেমন চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকার কারণে সেবা না পাওয়ায় আরো মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল।

সিডরঃ

এই ঘূর্ণিঝড়টি ২০০৭ সালের ১৫ই নভেম্বর প্রবাহিত হয়েছিল। এই ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৬০ কিলোমিটার। শ্রীলংকার শব্দ সিডর এর অর্থ হলো চোখ। এই ঘূর্ণিঝড়টি চোখের আকৃতি এর নাম সিডর রাখা হয়। যার ফলে প্রায়ই ২ হাজার ২১৭ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

বাংলাদেশ সাইক্লোনঃ

এই ঘূর্ণিঝড়টি ১৯৯১ সালে প্রবাহিত হয়েছিল। কয়েকদিন ধরে এ ঘূর্ণিঝড় প্রবাহিত হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড় পটুয়াখালী-বরিশাল চট্টগ্রামেও নোয়াখালীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি ১১০ কিলোমিটার। যার ফলে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এবং অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল যার পরিমাণ প্রায় ১.৫ বিলিয়ন।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এবং কেন? এর সাথে বাংলাদেশ হওয়া ভয়াবহ ৫ টি ঘূর্ণিঝড়, কিছু ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে উক্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। ১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪