OrdinaryITPostAd

চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, লক্ষণ ও প্রতিকার

চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা হবে আজকের এই আর্টিকেলে। সবার একটি বড় সমস্যা চোখ উঠা। চোখ ওঠা নিয়ে মানুষ খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইছে। তাই এখন আমরা চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারঃ উপস্থাপনা

এখন বাংলাদেশে সবার মাঝে একটি রোগ দেখা যাচ্ছে সেটি হল চোখ ওঠা। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত এ সমস্যায় ভুগছেন। অনেকে চোখ ওঠা রোগ নিয়ে অনেক আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। চোখ ওঠা রোগ হলে কি করতে হবে? চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন যে আপনার চোখ ওঠা রোগ হয়েছে এর সাথে চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আশা করি আপনি আমাদের সাথে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে থাকবেন।

চোখ ওঠা রোগের কারণ

এখন মানুষের কমন একটি সমস্যা হলো চোখ উঠা। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা চোখ ওঠা রোগের কারণ। চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এ সকল বিষয়ে আপনাদের জানাবো। সাধারনত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়। আবার আপনার যদি কোন কিছুতে এলার্জি থাকে তাহলে সে কারণেও চোখ ওঠা রোগ হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় - ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি উপায়

যে মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা অধিক পরিমাণে থাকে সেই মৌসুমে বেশি দেখা দেয়। সাধারণত এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ আপনি যদি কোন রোগীর ব্যবহৃত কোন জিনিস ব্যবহার করেন তাহলে এই রোগ আপনার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ তাই বাইরে থেকে আসার পরে অথবা কোন জিনিস ধরার পর আপনাকে ভালোমতো হাত ধুয়ে নিতে হবে।

চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

চোখ ওঠা রোগের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার চোখ ওঠা রোগ হয়েছে। চোখ ওঠা রোগ একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি ছোঁয়াচে রোগ হিসেবে পরিচিত। তো চলুন এই ছোঁয়াচে রোগ অর্থাৎ চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ও চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো জেনে নেই।

চোখ ওঠা রোগের লক্ষণঃ

১। চোখ সম্পূর্ণ লাল হয়ে যায়। প্রথমে আপনার একটি চোখ লাল হবে এর পরে দুইটি চোখ একসাথে লাল হয়ে যাবে।

২। চোখ দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পড়তে থাকে।

৩। চোখের ভেতরে খচখচ করে।

৪। আলোর দিকে তাকালে চোখ তা সহ্য করতে পারে না।

৫। চোখের পাতা ফুলে যায়

আরো পড়ুনঃ কিশমিশের 30 টি উপকারিতা এবং অপকারিতা জেনে নিন

৬। চোখ ব্যথা করে

৭। চোখ আঠা আঠা হয়ে যায়।

৮। সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে চোখ খোলা যায় না।

৯। চোখে হালকা জ্বালাপোড়া হয়।

১০। কখনো চোখে ঝাপসা দেখা শুরু হয়।

চোখ ওঠা রোগের প্রতিকারঃ

আপনার যদি চোখ ওঠা রোগ হয়ে থাকে তাহলে উপরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে আপনি বুঝবেন আপনার চোখ উঠেছে। চোখ ওঠা রোগের প্রতিকার আপনার অবশ্যই জেনে থাকা উচিত।

অপরিষ্কার পানি ব্যবহার না করা। আপনার যদি সমস্যা হয় তাহলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে চোখের ভেতরে যেন নোংরা পানি ধুলোবালি দূষিত বায়ু এসব না ঢোকে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা চোখ উঠলে বারবার চোখের পানি দেয় এবং তা পরিষ্কার করে। কখনো চোখে পানির ঝাপটা দিবেন না চোখ ওঠা অবস্থায়। চোখের জন্য খারাপ।

সানগ্লাস ব্যবহার করুন। আপনার যদি চোখ ওঠা সমস্যা হয় তাহলে চোখ ওঠার সমস্যা নিয়ে বাইরে যাবেন না। যদি বাইরে যাওয়ার অনেক প্রয়োজন হয় তাহলে সানগ্লাস পড়ে বাইরে যাবেন। আরো অনেকগুলো সর্তকতা রয়েছে যেগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সেগুলো আমরা এখন নিচে আলোচনা করব।

চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখ ওঠা রোগ নিয়ে অনেক বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই এটি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আপনি যদি কিছু সতর্কতা মেনে চলেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনাকে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাই এখন আমরা চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করব। যেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে।

১। চোখ ওঠা রোগ নিয়ে বেশি আতঙ্কিত হবেন না। এটি খুবই সাধারন একটি রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।

২। চোখ ওঠা সমস্যা হলে চোখ প্রচুর পরিমাণে চুলকায় এ সময় আপনার উচিত হবে হাত দিয়ে চোখ না চুলকানো।

৩। বাইরে গেলে অবশ্যই কালো চশমা পরতে পারেন।

৪। অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে কখনো যাবেন না।

৫। চোখ পরিষ্কার করার জন্য আলাদা কাপড় অথবা ভালো মানের টিস্যু ব্যবহার করবেন।

৬। আপনার যদি সমস্যা হয় তাহলে আলাদা থাকুন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বেশি মিশবেন না।

আরো পড়ুনঃ ইসলামে ধনী হওয়ার ২০টি উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়

৭। পেয়ারা পাতার মধ্যে রয়েছে জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা। পেয়ারা পাতা একটি শুকনো তাওয়াই নেড়ে কাপড়ে জড়িয়ে ধরে চোখের উপরে ধরে রাখুন। দিনে কয়েকবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব তাড়াতাড়ি এখান থেকে মুক্তি পাবেন।

৮। দুই চোখের জন্য আলাদা কাপড় অথবা টিস্যু ব্যবহার করুন। ব্যবহার করার পর সেগুলো ফেলে দিন।

৯। একটি পরিষ্কার সাদা নরম সুতি কাপড় গরম পানিতে ডুবিয়ে চেপে নিয়ে পরীক্ষা পর চোখের পাতা ও পাপড়ি পরিষ্কার করতে পারেন।

১০। উচ্চমাত্রার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এরকম তেল ব্যবহার করুন। যেমন ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে চোখে গরম ভাপ দিতে হবে কয়েক মিনিট ধরে। তারপরে উক্ত তিনটি চোখের লাগাতে হবে।

শেষ কথাঃ চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এয়ারটিকেল সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর সাথে চোখ ওঠা রোগের কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪