OrdinaryITPostAd

কনজাংটিভাইটিস কেন হয় - কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণ

কনজাংটিভাইটিস কেন হয়? এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা। সাধারণত চোখ উঠা কে কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। বর্তমান সময়ে খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এই সমস্যাটি। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়দের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কনজাংটিভাইটিস কেন হয়? এ বিষয়ে না জানার কারণে আমাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা কনজাংটিভাইটিস কেন হয় এবং কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে জানব।

পেজ সূচিপত্রঃ কনজাংটিভাইটিস কেন হয় - কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণ

কনজাংটিভাইটিস কেন হয় - কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণঃ উপস্থাপন

কনজাংটিভাইটিস হল চোখ ওঠা রোগ। বর্তমান সময়ে একটি কমন সমস্যা হল চোখ ওঠা। বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্কদের এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কনজাংটিভাইটিস কেন হয় তা না জানার কারণে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি বাড়ছে। আপনি যদি চোখ ওঠা থেকে বিরত থাকতে চান তাহলে আপনাকে আগে কনজাংটিভাইটিস কেন হয় এবং কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। তা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব।

কনজাংটিভাইটিস কেন হয়?

কনজাংটিভাইটিস সমস্যাটি একটি ভাইরাস জনিত সমস্যা। ভাইরাস আক্রমণের কারণে চোখ ওঠা রোগটি ও হয়ে থাকে। আমাদের এই বিষয়ে অজ্ঞতা থাকার কারণে আমরা একটুতেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যাই। আপনি যদি কনজাংটিভাইটিস কেন হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি চোখ ওঠা থেকে বিরত থাকতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ আদা খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা - আদা খাওয়ার ৭ টি ক্ষতিকর দিক

১। যখন কারো চোখ ওঠার সমস্যা হয় তখন তার চোখের পানির মধ্যে ভাইরাস যুক্ত থাকে। চোখে হাত দেওয়ার ফলে অথবা চোখের পানি মুছার ফলে সে ভাইরাস হাতের ভেতরে চলে আসে। এরপরে হাত দিয়ে যেখানে স্পর্শ করা হয় ওই ভাইরাসটি সেখানে চলে যায়। যার ফলে এ রোগটি ছড়িয়ে থাকে।

২। কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে হ্যান্ডশেক করলে অথবা তার শরীরে হাত দিলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৩। চোখ ওঠা রোগের আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, রুমাল টিস্যু ইত্যাদি ব্যবহার করলে চোখ ওঠা রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে যায়।

৪। চোখ ওঠা রোগীর ব্যবহৃত কোন জিনিস যেমন টিভি অথবা এসির রিমোট, মোবাইল ফোন ইত্যাদি স্পর্শ করলে চোখ ওঠা রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে।

৫। যেহেতু এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। তাই এটি বায়ুর মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে।

কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণ

কনজাংটিভাইটিস এ রোগের কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো আপনার প্রকাশ পেলে বুঝবেন আপনার চোখ ওঠার সমস্যা হয়েছে। আশা করি আপনি কনজাংটিভাইটিস কেন হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আপনারা কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন।

১। অনেক সময় এক চোখ লাল হয়ে থাকে আবার দেখা যায় যে মাঝেমধ্যে দুই চোখ লাল হয়ে যায়।

২। সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে চোখের দুই পাতা জোড়া লেগে যায় এবং চোখের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে ময়লা জমে থাকে।

৩। চোখ থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ঝরতে থাকে।

৪। চোখে ব্যথা অনুভূত হয়।

৫। চোখের ভেতরে খচখচ করে মনে হয় চোখের ভেতর কি যেন ঢুকে আছে।

৬। চোখের নিচের অংশ ফুলে লাল হয়ে যেতে পারে।

৭। চোখের ভেতরের জ্বালাপোড়া করে এবং চোখের ভেতরে চুলকানি হয়।

৮। চোখের মণির ভেতরে হাল্কা লাল হয়ে থাকে।

কনজাংটিভাইটিস এর প্রতিকার

প্রিয় পাঠক আপনারা ইতিমধ্যে কনজাংটিভাইটিস কেন হয় এই সম্পর্কে জেনেছেন এখন আমরা কনজাংটিভাইটিস এর প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি কনজাংটিভাইটিস এর প্রতিকার সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে অল্পদিনের মধ্যে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

আরো পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার ৩০ টি উপকারিতা এবং অপকারিতা বিস্তারিত জানুন

  • এটি খুবই সাধারন একটি সমস্যা তাই বেশি আতঙ্কিত না হয়ে অল্পদিনের মধ্যেই এটি এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।
  • হাত দিয়ে চোখ চুলকানো যাবে না।
  • বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই কালো চশমা পড়তে হবে। বাইরের ধুলোবালি ইত্যাদি থেকে কালো চশমা রক্ষা করে।
  • চোখ ওঠার সমস্যা হলে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
  • চোখ মোছার জন্য আলাদা তোয়ালে অথবা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
  • সতর্কতার সাথে চলতে হবে যেন অন্যদের এ ধরনের সমস্যা না হয়।

কনজাংটিভাইটিস এর ওষুধ

চোখ ওঠার সমস্যা হলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই এটি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি এটি অনেকদিন ধরে হয় এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ফুলে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

চোখ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা হয় এবং ফুলে যায় তাহলে কাপড়ে করে হালকা গরম তাব দেওয়া যেতে পারে চোখে। এক্ষেত্রে একটু আরাম পাওয়া যেতে পারে।

এছাড়া দোকানে অনেকগুলো চোখের ড্রপ কিনতে পাওয়া যায় যেমন Tear-Mimic Eye Drops ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

চোখ ওঠার সমস্যা হলে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া আপনার যদি অনেক সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কনজাংটিভাইটিস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

এখনকার সময়ে চোখ ওঠা একটি কমন সমস্যা হয়ে উঠেছে। চোখ ওঠা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনার কিছু করণীয় রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি অবশ্যই কিছুদিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন। আপনি কনজাংটিভাইটিস কেন হয় তা জানতে পেরেছেন তাহলে খুব সহজেই এখান থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

কনজাংটিভাইটিস এর ঘরোয়া চিকিৎসা - ১ঃ তাওয়া গরম করে যে তাপ হবে সে তাপ পরিষ্কার কাপড়ে নিন। এরপর সেই তাপ চোখে দিন। দিনে কয়েকবার এ পদ্ধতিতে চোখের তাপ দিতে পারেন তাহলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাবেন। এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যে এখান থেকে আরাম পেয়ে যাবেন।

কনজাংটিভাইটিস এর ঘরোয়া চিকিৎসা - ২ঃ চোখ ওঠা রোগ হয় সাধারণত ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে। আপনি যদি এই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে চান তাহলে পেয়ারা পাতার ব্যবহার করতে পারেন। পেয়ারা পাতা তে রয়েছে জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা। পেয়ারা পাতা যদি দিনে কয়েকবার চোখে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চোখ ওঠা থেকে অনেক আরাম পাবেন।

কনজাংটিভাইটিস এর ঘরোয়া চিকিৎসা - ৩ঃ বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী তেল রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যে চোখ উঠেছে ওই চোখে প্রথমে কয়েক মিনিট ভাত দিতে হবে। এরপর তেলগুলো চোখে লাগায় দিতে হবে আগের থেকে অনেক আরাম পাওয়া যাবে কয়েক দিন ব্যবহার করার ফলে।

কনজাংটিভাইটিস এর কাজ কি

সাধারণত চোখ ওঠা সমস্যাকে কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। বর্তমান সময়ে একটি বড় ধরনের সমস্যা হল চোখ ওঠা। মানুষ এই সমস্যা নিয়ে খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা এই সমস্যায় ভুগছেন। বড়দের তুলনায় তাদের এ সমস্যায় বেশি কষ্ট হয়। তার আগে আপনাকে কনজাংটিভাইটিস কেন হয় এই বিষয়টি জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কমলা খাওয়ার ৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

তাই এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেকগুলো উপায় রয়েছে যা আমরা ইতিমধ্যেই ওপরে এগুলো আলোচনা করেছি। আপনি যদি উপরের নির্দেশনা গুলো মেনে চলেন তাহলে খুব সহজে এখান থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

শেষ কথাঃ কনজাংটিভাইটিস কেন হয় - কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণ

কনজাংটিভাইটিস কেন হয়? কনজাংটিভাইটিস এর লক্ষণ, কনজাংটিভাইটিস ঘরোয়া চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়গুলো উপরে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কারণ এগুলো জেনে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এখনকার জন্য। তাই একটু বেশি সতর্ক থাকা যায়। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। ১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪