OrdinaryITPostAd

ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই জাদুকরী পানিয়

ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই জাদুকরী  পানিয়


১১ই জুন রবিবার, ২০২৩


বাড়তি ওজন নিয়ে আমরা সবাই অনেক দুশ্চিন্তায় থাকি। এই বাড়তি ওজনের কারণে  আমাদেরকে নানা রকম সমস্যায় ভুগতে হয়। ওজন বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে এক্ষেত্রে ওজন কমানোর জন্য নিয়ে এলাম কিছু জাদু করে উপায়। যা দ্রুত ওজন কমাতে খুব সাহায্য করে। 

আসুন জেনে নিই যাদুকরি পানি ওগুলো কি কি? 

এবং এর ব্যবহার। 

১.লেবু ও লবন পানি :



সকালে উঠে পানির মধ্যে লবণ, লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অতিরিক্ত মেদ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় নিয়মিত ভুগছেন, তাদের পক্ষেও লেবুর রস ও লবণ মেশানো পানি খুবই উপকারি। তবে লবণ ও লেবুর পানির অন্য অনেক উপকারিতাও রয়েছে। শুধু পান করেই নয়, লেবু ও লবণ মেশানো পানি ব্যবহার করা যায় রূপচর্চাতেও। 

>রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ পানিতে লেবু ও আন্দাজমতো লবণ মিশিয়ে পান করলে ওজন কমতে সাহায্য করে। তবে সঙ্গে রোজকার ডায়েটও রাখতে হবে সঠিক।

> মুখের তেলতেল ভাব কমাতে বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে লেবুর রস ও লবণ মেশানো পানিতে মুখ ধুয়ে নিন, দেখবেন মুখের চামড়া ফ্রেশ হয়ে যাবে।

> অতিরিক্ত ব্রন-র সমস্যায় ভুগছেন? রোজ লেবু ও লবণ মিশ্রিত পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

দেখবেন দ্রুত উপকার পাচ্ছেন।

> শুধু ব্রনও নয়, মুখের দাগ তুলতেও দারুণ কাজ করে লেবু ও লবণ মেশানো পানি।

> দাঁতের ব্যথায়, কিংবা মুখের দুর্গন্ধ রোধ করতেও ম্যাজিকের মতো কাজ দেয় লেবু ও লবণ মেশানো পানি।


২.চিয়া সিড



চিয়া সিড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ওজন কমাতে দ্রুত সাহায্য কর। এটি ব্যবহারের নিয়ম রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালের পানি সহ খেয়ে ফেলা বা শুধু পানিটুকু খেলেও তার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো । শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা কোলেস্টেরল কমাতে এটি খুব দ্রুত কাজ করে। 

 আসুন  এর উপকারিতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিই।

>এটি রাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালে পানিটি খালি পেটে খেতে হয়। 

> অল্প পরিমাণের চিয়া সিড গরম পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে এতে সামান্য মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। 

>অল্প করে চিয়া সিড এবং জিরা গরম পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে তা রোজ সকালে খালি পেটে খেতে হবে। 

এটি খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত শরীরের ওজন কমে এবং কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে। 


৩.জিরা পানি



জিরাতে কপার , আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, জিঙ্ক এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়। রান্না ছাড়াও বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকারের ক্ষেত্রে জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে জিরার পানি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বেশি উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস জিরার পানি পান স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী হতে পারে।  সকালে খালি পেটে জিরা পানি পানে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-


> বদখজম নিরাময় করে:  গ্যাস জমে পেট ফুলে যাওয়ার ঘটনা খুবই সাধারণ ব্যাপার। এর ফলে, পেট ফুলে শক্ত হয়ে যায় এবং পেট ভার হয়ে থাকার অনুভূতি হয়। এছাড়াও, পেটে অস্বস্তি কিংবা পেট ব্যথাও হতে পারে। এক্ষেত্রে জিরা পানি পান অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। জিরা বদহজমের সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে।

> ওজন কমাতে সাহায্য করে : জিরা পানি ভালো হজমে সহায়তা করে এবং দেহ থেকে টক্সিন বার করতে পারে। পরিপাকক্রিয়া ঠিক থাকলে, শরীর থেকে টক্সিন সহজেই পরিষ্কার হয়, ফলে ওজন হ্রাস এবং ফ্যাট কমে। তাই নিয়মিত জিরা পানে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়  : জিরা পটাশিয়াম, আয়রন এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। নিয়মিত জিরা পানি পান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে  আরও শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। এটি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি, ঘনঘন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাকেও কম করতে সহায়তা করে।

>ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে   : খালি পেটে জিরা পানি পান ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জিরা শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

> রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে : জিরা পানিতে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা শরীরের সঠিক কর্মকাণ্ড বজায়  রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া, এটি লবণের নেতিবাচক প্রভাবগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

>লিভারের জন্য উপকারী : জিরাতে লিভারের ডিটক্সিফিকেশন বৈশিষ্ট্য বর্তমান। তাই জিরা পানি পান লিভারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। এটি ডাইজেস্টিভ এনজাইম উৎপাদন বাড়ায়। নিয়মিত জিরার পানি পানে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়ার পাশাপাশি, পিত্ত উৎপাদনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪.খেজুর ভেজানো পানি 



খেজুর খাওয়া মানে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। রমজান মাস ব্যতীত আমরা খেজুর খেয়ে থাকি। খেজুর ভেজানো পানি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আসুন জেনে নেয়া যাক এর উপকারিতা গুলো । 


> সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরে রক্ত তৈরী হতে সাহায্য করে। 

> অতিরিক্ত মেদ কমায় এবং রক্ত নালী পরিস্কার করে। 

> উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিন কম করে সকালে খালি পেটে ৮-১০ টি খেজুর  খান।


উক্ত চারটি খাবার আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলো যেমন শরীর এর অনেক উপকার করে তেমন মেদ কমিয়ে শরীর কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের উচিৎ নিয়োমিত এগুলো সেবন করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪