OrdinaryITPostAd

ভাইরাস ও ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে পার্থক্য

 

ভাইরাস ও ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে পার্থক্য

২৭শে জুলাই বৃহস্পতিবার, ২০২৩





 আমাদের দেশে  প্রতি বছর বর্ষা এলেই বাড়ে ডেঙ্গু। ঋতু পরিবর্তনের কারণে ভাইরাস জ্বরের প্রবণতাও বাড়ে। একই সঙ্গে বাড়ে জ্বর-সর্দির সমস্যা। তাই সব জ্বরকে ভাইরাস জ্বর বলে অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়। হতেও পারে আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।এছাড়া ভাইরাস জ্বর এবং ডেঙ্গু দুটি আমাদের জন্য অনেক ক্ষতি করে। সঠিক সময় এর চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 



ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। গতকাল মঙ্গলবারও ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৪১৮ জন। যাদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৬২ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ২৫৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তবে আসুন জেনে নিন ভাইরাস জ্বর ও ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে পার্থক্য কি -

ডেঙ্গুতে জ্বরের তীব্রতা অনেক বেশি হয়।মূলত  এডিস মশার কামাল ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে  ডেঙ্গুতে প্রায় ১০৪ ফারেনহাইট জ্বর উঠে। এই জ্বর ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। জ্বর ছাড়াও মাথাব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, ডায়ারিয়া, বমি বমি ভাব দেখা দেয়। শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি গায়ে র‍্যাশ উঠতে শুরু করে। এছাড়া মাড়ি, নাক দিয়ে রক্তপাত, গলাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

পেটে ব্যথা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, মাড়ি, নাক বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত, ত্বকে লাল র‍্যাশ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করুন। ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম তৈরি হলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তখন পালস রেট বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ কমে যায়।

এর জেরে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় এবং দেহে অস্বস্তি তৈরি হয়। এমন অবস্থা তৈরি হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করুন।এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করুন। ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। 

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য নির্ধারিত কোন ওষুধ নেই। তবে ডাক্তাররা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডেঙ্গু হলে শরীরকে পানিশূন্য হতে দেওয়া যাবে না। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করুন। ডাবের পানি, ফলের রস, স্যুপ, চিকেন সুপ খেতে পারেন।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪