OrdinaryITPostAd

তেঁতুলের অপকারীতা

তেঁতুলের অপকারীতা

১৩ই এপ্রিল শনিবার ২০২৪




    ছবি সংগ্রহীত 









 তেঁতুল আমাদের জন্য যেমন উপকার রয়েছে, তেমনি অপকারও রয়েছে। তেতুল আমরা যেমন খাওয়ার কাজে ব্যবহার করি।   আমাদের  তাহলে কী ছেলেরা এ তালিকায় নেই? তাও কী করে বলি! খেতে বসলে দেখা যায়, কোনো কোনো পুরুষ মেয়েদেরও হার মানায়। আসলে এ ফলটি সবার কাছে অন্য এক আকর্ষণ। একটি টকজাতীয় ফল হিসেবে অনেকের কাছেই বেশ পছন্দের হল তেঁতুল। তেঁতুলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো (Tamarindus Indica)




তেঁতুলের ইংরেজি নাম হলো ( Melanesian Papeda ) । এটি একটি দানা যুক্ত ফল। বিশেষ আবরণের খোসা দ্বারা পানি আবৃত থাকে এই ফলটির। এটি কাঁচা অবস্থায় যেমন খাওয়া যায় ঠিক তেমনি এটি পাকা অবস্থায় ভালো খাওয়া যায়। তাই আমাদের দেশের ছোট বড় সকলের কাছে জনপ্রিয় একটি ফল হল তেঁতুল।


তেঁতুলের অপকারিতাঃ-



১. শরীরে রক্তপাত বৃদ্ধি করেঃ- অনেক সময় নির্দিষ্টি কিছু ঔষুধ যেমন এন্টি প্ল্যাটিলেট ড্র্যাগ ,ওইস্পিরিন ইত্যাদি ওষুধ যদি কোন কারণেই খেয়ে থাকেন, তার পাশাপাশি তেতুল খাওয়ার ফলে শরীরে রক্তপাত বৃদ্ধি পায়।


২. গ্লুকোজের মাত্রা কমেঃ- অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়ার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। ফলে অনেকেই হাইপোগ্লেসিমিয়াতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।


৩. শরীরে এলার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায় ঃ- অনেক সময় অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে এলার্জির বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সেই এলার্জি থেকে নানা ধরনের ক্ষতের সৃষ্ট হয়।


৪. ওজন কমে যাওয়া :- অতিরিক্ত পরিমাণে তেঁতুল খেলে শরীরের ওজন কমে যেতে পারে।


৫. দাঁত নষ্ট হয়: এছাড়াও অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়।ফলে দাঁতের ক্ষতি হয়। দাঁত নষ্ট হবার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।


৬. পিওথলি সমস্যা: অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে পিত্তথলিতে সমস্যা হয়। এই সমস্যা থেকে অনেকের পিত্তথলিতে পাথর হতে সাহায্য করে।


৭. জন্ডিস: অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে জন্ডিসের মতো সমস্যা হতে পারে।


৮. শরীরে এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় : তেঁতুলে প্রচুর পরিমানে রয়েছে এসিটিক এসিড। যা খাওয়ার ফলে শরীরে এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।


অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছেন। তেঁতুল তার ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম নয়।



তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে টারটারিক অ্যাসিড থাকে, যা শরীরে কার্বোহাইড্রেটের ভাঙনকে ধীর করে দিতে পারে। যা রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণ হতে পারে।



ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তেঁতুল খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়। তেঁতুল খেলে রক্তের চিনির মাত্রা আরও কমে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।


ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেঁতুল খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা প্রতিদিন ১০ গ্রাম।  এর বেশি তেঁতুল খেলে শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।


পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদেরকে  এ বিষয়গুলো রোধ করতে হবে। এবং এসব বিষয়প খেয়াল রাখতে হবে।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪