OrdinaryITPostAd

চারশত নামাজের ফজিলত

 চারশত নামাজের কখন পড়তে হয় এবং এর ফজিলতসমূহ

১৯ শে এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪


    ছবি সংগ্রহীত 








সংক্ষিপ্ত সময়ে অল্প নামাজে অনেক উপকার লাভ করা যায়। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ নামাজের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সময় অনেক নামাজ আদায়কে সুন্নাত বলেছেন এবং তা আদায়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এমনই একটি নামাজ হলো ‘সালতুস চাশত বা চাশতের নামাজ’। এ নামাজকে সালাতুজ জোহাও বলা হয়।



চাশতের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব বর্ণনায় অন্য হাদিসে এসেছেঃ-



হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয়নবি বলেছেন, ‘সকালে তোমাদের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাদকা করা আবশ্যক। প্রতিটি তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) সাদকা; প্রতি তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) সাদকা। 



প্রতিটি তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) সাদকা; প্রতিটি তাকবির (আল্লাহু আকবার) সাদকা। সৎ কাজের আদেশ দেয়া সাদকা। অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকা। আর এগুলোর পরিবর্তে যথেষ্ট হবে চাশতের ২ রাকাআত নামাজ আদায় করা। (মুসলিম)



চাশতের নামাজের সর্বোত্তম সময় হলো- সূর্যোদয়ের পর উটের বাচ্চা যখন গরম অনুভব করে; সে সময়টি হলো চাশতের নামাজের সময়।


চাশতের নামাজ কমপক্ষে ২ রাকাআত পড়তে হয়। । সুতরাং প্রতিদিন সাধ্যমত ২ সময় সাপেক্ষে আরো বেশি পড়া যেতে পারে।


হজরত মুয়াজাহ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলেন-


كَمْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلاَةَ الضُّحَى قَالَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَيَزِيدُ مَا شَاءَ


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’যুহা’ বা চাশতের নামাজ কয় রাকাত আদায় করতেন? জবাবে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, ‘তিনি ’যুহা’ বা চাশতের নামাজ সাধারণত চার রাকাত আদায় করতেন এবং অনেক সময় ইচ্ছামত আরও বেশি আদায় করতেন।’ (মুসলিম ৭১৯)



নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ নামাজ সম্পর্কে অসিয়তও করে গেছেন। হাদিসে পাকে এসেছেঃ-


হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমার বন্ধু (অর্থাৎ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তিনটি কাজ করতে উপদেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলোঃ-


بِثَلاَثٍ بِصِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَكْعَتَىِ الضُّحَى وَأَنْ أُوتِرَ قَبْلَ أَنْ أَرْقُدَ


হাদিসে চার রাকাত এবং আরও বেশি পড়ার কথা এসেছে। হাদিসের ব্যাখ্যায় এই নামাজের রাকাত সংখ্যা হলো- সর্বনিম্ন দুই রাকাত এবং সর্বোত্তম হলো দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত। আর সর্বাধিক রাকাত হলো আট রাকাত।



আবার অনেক আলেমের মতে, এই নামাজের রাকাতের অধিক সংখ্যার সীমা নির্ধারিত নেই। অতএব মুসলিম ব্যক্তি তার ইচ্ছা মত যতো রাকাত নামাজ পড়ার ইচ্ছা করবে ততো রাকাত নামাজ পড়তে পারবে। তবে এই নামাজগুলো দুই দুই রাকাত করে পড়তে হবে।



আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত চাশতের নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। ( আমিন)



পরিশেষে বলা যায় যে আমাদের এ নামাজ পরলে লাভ হবে ক্ষতি হবে না।আমাদের  এ নামাজ পড়া উচিত। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪