কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় ও ক্রিমের ব্যবহার

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলেকালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় - কালো ঠোঁট গোলাপি করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় - কালো ঠোঁট গোলাপি করার ক্রিম সম্পর্কে।

আজ আমরা জানবো কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে। বিভিন্নভাবে কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় রয়েছে।মুখের সৌন্দর্যের অন্যতম একটি অংশ হল ঠোঁট অযত্নের কারণে বিভিন্ন সময় ঠোঁট কালো হয়ে যায়। ঠোঁটের যত্নে আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করে থাকি কিন্তু তার মধ্যে অধিকাংশ পণ্য কেমিকেল যুক্ত হয়ে থাকে যার ফলে ঠোঁট আরো হয়ে যায় কালো। প্রাকৃতিক প্রদত্ত চিনি ছোটে নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁট উজ্জ্বল হতে পারে।এছাড়া চিনি দিয়ে যদি ঠোঁটে আলতো ভাবে ডলা যায় স্ক্রাব করা যায় তাহলে মরা চামড়া উঠে যায় এবং উজ্জ্বল চামড়া ভেসে ওঠে এবং চীনের কারণে ঠোটের উপর একটি কটিন তৈরি হয়ে যায়।

ত্বকের জন্য যেমন স্ক্রাব গুরুত্বপূর্ণ তিনি ঠোঁটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেই স্ক্রাব। তিন চামচ চিনি এবং দুই চামচ বাটার একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন এবং নিয়মিত ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পেজটি স্ক্রাব করলে ঠোটেঁর সকল দাগ উঠে যাবে।এতে আপনের কালচে দাগ দূর হবে ঠোঁটের এবং গোলাপী আভা চলে আসবে।

স্ক্রু ক্রিম ব্যবহারের ঠোঁট কালো থেকে গোলাপি তোর উপনীত হয়ে যায়। ভোটের কালচে ভাব দূর করার একটি কার্যকারী প্রোডাক্ট হলো স্ক্রু ক্রিম।এই ক্রিমের উপকারিতা অনেক।এটি ব্যবহারে ঠোঁট হয় গোলাপি।সূর্যের বেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া কালো দাগ বা সিগারেট খাওয়ার কারণে হওয়া কালো দাগ দূর করতে সক্ষম।ঠোঁট কোমল এবং সফট তুলোর মতো।শীত ও অন্যান্য সময় ঠোঁটকে কোমল ও গোলাপি রাখতে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তাই জন্য সকল ধরনের মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারেন।এটি ঠোঁটে লাগানোর পর ভালোভাবে স্ক্রাব করে নিতে হয় তাতে ঠোঁটের ময়লা এবং ফাটা দাগ দূর হয়ে যায় এছাড়া ঠোঁট হয় মসৃণ এবং সফট।এটি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন এবং সকালবেলা উঠে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলে দেখবেন ঠোঁট গোলাপের মতো উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় এর মধ্যে ঘরোয়া উপায়ে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত।মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বক উজ্জল করতে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে। ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে। মধু আমাদের ঠোঁটকে কালচে ভাব থেকে মুক্ত করে। রাতে ঘুমানোর আগে একটু মধু লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন এতে বিভিন্ন ঠোঁটের সমস্যা দূর হয়ে যায় কালচে ভাব উঠে যায়। কয়েক সপ্তাহ পূর্বে যদি ঠোটে মধু লাগানো তাহলে দেখা যাবে আপনার ঠোট আস্তে আস্তে উজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া লেবুর রস আমাদের খুবই একটি জনপ্রিয় প্রসাধনী লেবুর সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে ঠোটে হালকা স্ক্রাপ করতে পারেন। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে এটি বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে লেবু চিপে রস ঠোঁটে ভালভাবে লাগিয়ে নিতে পারেন। নিয়ম মেনে এটি করলে ছোট হয়ে যাবে মসৃণ দাগ মুক্ত এবং উজ্জ্বল।

বিভিন্নভাবে কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় রয়েছে।বিটরুট একটি কার্যকরী উপাদান ঠোঁটকে উজ্জ্বল করার জন্য। বিটরুট এর রস নিয়মিত ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁটের দাগ দূর হয়ে গোলাপি আভা সৃষ্টি হয় এবং এটি ঠোঁটকে মসৃণ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত তাজা ঠোঁটে লাগিয়ে কালচে ভাব দূর করতে পারেন।অনেকেই বরফ চিনে থাকবেন নিয়মিত বড় ঠোঁটে ব্যবহারে ঠোঁট হয়ে যায় গোলাপি। যেকোনো দাগের ওপর যেমন বরফ ঘষলে দাগ হালকা হয়ে যায় তেমনি নিয়মিত ঠোটে ঘষতে থাকুন কালচে দাগ নিমিষেই গায়েব হয়ে যাবে।

বড় আদ্রতার পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন ক্ষত বা রুক্ষতা কমাতে এটি বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে তাই নিয়মিত ব্যবহারে হয়ে যায় উজ্জল।প্রসাধনী হিসেবে দুধের সর প্রাচীনকাল থেকেই একটি বিরাট জায়গা করে রেখেছে মানুষের মনে তবে বর্তমান সময়ে অনেকেই জানেন না যে এই দুধের সর ব্যবহার করে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করা যায়।

প্রাচীনকালে নারীরা ত্বক উজ্জ্বল রাখার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করত। আপনি যদি নিয়মিত ঠোঁটে দুধের সর ব্যবহার করেন তাহলে দুধের কারনে ঠোঁটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে এবং হবে মসৃণ দাগমুক্ত।