OrdinaryITPostAd

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়


৯ই মে শুক্রবার ২০২৫ 



ছবি সংগৃহীত 




অনেকে মনে করেন এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল চুলের জন্য উপকারী তুমি এটা খাওয়া যায় বা কিভাবে ইউজ করা যায় তা অনেকেই জানে না। একটা ভাজি অলিভ অয়েল আমাদের চুলের জন্য এবং ত্বকের জন্য বেশি উপযোগী উপকারী। 

চুলের যত্নে অনেকে অনেক রকম তেল ব্যবহার করে থাকি তবে সব বাজারে সব তেল চুলের জন্য উপকারী না। বাজারে বিভিন্ন প্রকারের চুলের তেল পাওয়া যায় তাদের মধ্যে কিছু তেল রয়েছে যা চুলের জন্য উপকারী এবং কিছুতেই রয়েছে যা ক্ষতিকর। আমরা আজকে জানবো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়  এবং এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। 

•এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী তা আদিকাল থেকে আমি আমরা জেনে আসছি। অলিভ অয়েল খুব উপকারী সেটি আমাদের ত্বক এবং চুল উভয়ের জন্যই। 

•এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে, চুল পড়া কমায়, মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

•এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চুলে ব্যবহার করলে যেমন মাথার ত্বক ভালো থাকে ঠিক তেমনি চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে এবং চুলকে খুশকি মুক্ত রাখে।

•চুলের যত্নে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি জলপাইয়ের তেল হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য চুলের জন্য উপকারী। 





এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার নিয়ম


তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে সব তেল নয়। তেল বেশি খেলে শরীরের যেমন ফ্যাট বাড়ে তেমনি রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। সেই আদিকাল থেকে অলিভ অয়েল খাবার এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। 

একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার নিয়ম নির্দিষ্ট নয় যে এভাবে বা ওভাবে  কোন কারো সাথে মিশিয়ে সেটা খাওয়া যাবে।যেমন আমরা দৈনন্দিন জীবনে রান্নার কাজে তেল ব্যবহার করে থাকি সেই ভাবেই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করে খাবার খাওয়া যায়। এটি রান্নার সাদ্ধ বাড়ায়। 

একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল জলপাইয়ের তেল থেকে তৈরি হয় , আমরা জানি যে জলপাই তেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।  ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার  নিয়ম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। বিশেষ করে ত্বকের এবং চুলের যত্নে এটি বেশ উপকারী এবং জনপ্রিয়। অন্যান্য তেলের দামে তুলনায় এর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।   

অলিভ অয়েল এর পরিমাণ রান্নায় খুব অল্প লাগে এবং এটি নানান পুষ্টিগুণে  ভরপুর। অনিবারে তেল রান্না করে খাওয়া যায় আবার হাফ চামচ বা এক চামচ পরিমাণে রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে শোয়া যায়। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নেই। এটি যেকোনো উপায়ে খাওয়া। 



এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা







অলিভ অয়েল তো আমরা সবাই চিনি এবং এটি আমাদের জন্য কতটা উপকারী এই সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সকলেই জানে। অলিভ অয়েল মূলত জলপাই থেকে তৈরি করা হয়। এই তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক, পবিত্র কোরআনেও এই তেলের কথা বর্ণিত রয়েছে।

অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্য, ত্বকের জন্য এবং চুলের জন্য খুব উপকারী। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এর এত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। যারা স্বাস্থ্য সচেতন ও চুল নিয়ে খুব বেশি তার মধ্যে থাকে তারা মূলত এই তেলটি সবসময় ব্যবহার করে থাকে। জলপাই থেকে বের করে তার পরে সেটি প্রোসেস করে তেল তৈরি করা হয়। আজকে আমরা জানবো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন জেনে নেয়া যাক এর বিস্তারিত। 


এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা -

•এটি আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। বয়সের ছাপ কমায়, উজ্জ্বলতা বাড়ায়, রিংকেল, দাগ দূর করতে সাহায্য করে। 

•চুলে যত্নে অলিভ অয়েল খুব উপকারী। অলিভ অয়েলের তেল খেলে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। চুল হয়ে ওঠে ঘন, উজ্জ্বল এবং মসৃণ। চুলের জোর কোন সমস্যা দূর হয়ে যায়। করে যাদের অতিরিক্ত খুশকি রয়েছে তাদের পুচকিও দূর করতে সাহায্য করে। 

•হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েলের তেলের রান্না করলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক কম থাকে আমাদের হার্টের জন্য অনেক ভালো। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খেলে আমাদের হার্ট অনেক ভালো থাকে। 

•এক্সট্রা  অলিভ অয়েল আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।এটি আমাদের লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

•এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। 
 


এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি


আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন তোমরা জয়তুনের তেল খাও এবং শরীরে মালিশ কর  কেননা এটি বারাকত এবং প্রাচুর্য ময়। 

(সহীহ ইবনু মাজাহ ১০১৯)

অলিভ অয়েল সাধারণত সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে, একটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অন্যটি ভার্জিন অলিভ অয়েল। 

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ও ভার্জিন অলিভ অয়েল তৈরি পদ্ধতিতে পার্থক্য রং এবং গুণগতমানের। আজকে আমরা জানবো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত। 

• একটু ভার্জিন অলিভ অয়েল তৈরি করা হয় মূলত কারখানায় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে এর থেকে তেল বের করা হয়। এই এই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তৈরি করা হয় সঠিক তাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সঠিক   চাপ ব্যবহার করে যেন অলিভ অয়েলের রং গুণগত মান, এবং এর স্বাদ  বজায় থাকে।এছাড়াও একটি প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় এর সাথে কিছু কেমিক্যাল মেশিনে দেওয়া হয়। এই তেলকেল রেগুলার লাইট অলিভ অয়েল বাপ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বলা হয়ে থাকে। 

• অন্যদিকে ভার্জিন অয়েলের রং থাকে সবুজা ভাব এবং গন্ধ থাকে জয়তুনের। এর স্বাদের  মধ্যেও থাকে কাঁচা পাকা  জয়তুনের ঘ্রাণ। এটি বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ ওরা সৈনিক মুক্ত হওয়ায় এর গুণগত মান এক্সট্রা ভার্জিন অনলি থেকে অনেক বেশি। এবং এর গুণগত গুণাবলী গুলো বজায় থাকে। 


কোন অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভালো

আমরা জানি অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি মূলত জয়তুন বা জলপাই  হতে তৈরি করা হয়।পবিত্র কোরআনের জয়তুনের তেল ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের মহানবী রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন তোমরা জয়তুনের তেল খাও এবং তার শরীরে মালিশ করো এটা বারকাত ময় এবং প্রাচুর্য ময়। 

জয়তুন বা অলিভ অয়েল এর  উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না।  অলিভ অয়েল সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে একটি এক্সট্রা ভার্জিন  অলিভ অয়েল এবং অপরটি  ভাজিল অলিভ অয়েল। দুটো ওয়েল এর মধ্যে পার্থক্য করা হয় তাদের গুণগত মান, স্বাদ, গন্ধ,ও রঙের উপর ভিত্তি করে। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভালো। 

•ভার্জিন অলিভ অয়েল : এই তেলটি মূলত তৈরি করা হয় সঠিক তাপ প্রয়োগ করে। যেন এর রং এবং গুণগতমান বজায় থাকে। ভার্জিন অলিভ অয়েলের রং সবুজ আভাব হয়।  ভার্জিন অয়েল এ মূলত রং, গন্ধ এবং স্বাদের মধ্যে কাঁচা জয়তুনের স্বাদ বোঝা যায়। এতে অলিভ অয়েলের মধ্যে থাকা গুনাগ্গত মান গুলি বজায় থাকে এবং কোন রাসায়নিক মিশ্রণ করা হয় না। এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভয়েলের থেকে। তাই ভার্জিন অলিভ অয়েল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর থেকে বেশি ভালো। 

•এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল :এই ভার্জিন অয়েলটি মূলত প্রক্রিয়াজাতকরণ করে তাপ এবং চাপ প্রয়োগ করে কারখানায় তৈরি করা হয়। এটি তৈরি করার পরে এর মধ্যে কেমিক্যাল মিশিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ এর জন্য তৈরি করা হয়। এতে এর রং স্বাদ এবং গন্ধ এর কোন পরিবর্তন হয় না। এতে কাঁচা অলিভ অয়েলের কোন গন্ধ থাকে না। এটি যেহেতু প্রক্রিয়ারজাতকরণ করে তৈরি করা হয় এই কারণে এর গুণগত মান  ভার্জিন অয়েল থেকে কিছুটা কম। তাই এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলের থেকে ভার্জিন  অলিভ অয়েল বেশি ভালো। 


অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর উপকারিতা


আমরা সকলে জানি অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । এই তেল কোলেস্টরেল ফ্রি হওয়ায় শরীরকে রাখে সুস্থ। অলিভ অয়েল আমাদের মুখের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই তেলটি অনেক রকম রোগ যেমন দূর হয় তেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে রোগ দূর হয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। অলিভেলে নানা রকম উপকারিতা রয়েছে। আমাদের শরীরের এটি মালিশ করলে মাংসপেশি তে রক্ত চলাচল সচল থাকে রোগ বালায় কম হয়। অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর উপকারিতা অনেক যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। অলিভ অয়েল এমন একটি তেল যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বরং উপকার বেশি। অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। আজকে আমরা অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর উপকারিতা সম্পর্কে জানবো। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর উপকারিতা কি -

•অলিভ অয়েল আমাদের মুখের বলিরেখা দূর করে তোকে করে সুন্দর, মসৃণ এবং প্রাণবন্ত। 
•এটি মুখে লাগালে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। 
•ত্বকের মৃত কোষ গুলো দূর করে নতুন কোষ  তৈরি করতে সাহায্য করে।
•চোখের নিচের কালো দাগ খুব সহজে দূর করতে সাহায্য করে। 
•এটি ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি হতে ত্বককে রক্ষা করে। 
• কোষগুলো কে ভালো রাখতে সাহায্য করে । 
•এটি আমাদের মুখের ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। 


এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর দাম কত

আমরা সকলে জানি অলিভ অয়েল আমাদের জন্য খুবই উপকারী তবে বাজারে এখন নকল অলিভ অয়েলও পাওয়া যায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা আসল  এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল সেল না করে নকল টাই আসলে দামে বাজারে সেল করে। আসল এক্সট্রা  ভার্জিন অলিভ অয়েল এর দাম অনেক এটি মূলত ৩০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। আজকে আমরা জানব এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর দাম কত এর সম্পর্কে। 

তবে যদি এটি অনলাইনে কেনা হয়ে থাকে ১০০ মিলি একটা ভার্জিন অয়েলের দাম পড়বে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা। এবং যদি বাজার থেকে কেনা হয়  তবে ১০০ মিলি খাঁটি ভার্জিন অয়েল এর দাম পড়বে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কখনো কখনো এর বাজার দামের তারতম্য হয়ে থাকে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের দাম কখনো বাড়ে বা কখনো কমে।। 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪